অভাগা যেদিকে যায়, সাগর শুকায়ে যায়– কথাটি যেন সাকিব আল হাসানের জন্য বেশ ভালোভাবেই প্রযোজ্য। সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না এই টাইগার অলরাউন্ডারের জন্য। বোলিং অ্যাকশনে নিষেধাজ্ঞার কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলেও জায়গা হারিয়েছেন তিনি। এবার যুক্তরাষ্ট্রের লিগেও দল হারালেন সাকিব।
মেজর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি) লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সের হয়ে গত আসরে খেলেছিলেন সাকিব। আসন্ন মৌসুমে কেবল ব্যাট হাতে খেলার সুযোগ থাকলেও শেষ পর্যন্ত স্কোয়াড থেকেই বাদ পড়লেন তিনি। এ যেন ক্রিকেট থেকে সাকিবকে একেবারেই দূরে সরিয়ে দিচ্ছে নিয়তি।
বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হওয়ায় ও ছাত্র আন্দোলনে নীরব ভূমিকা পালন করায় বেশ সমালোচিত হন সাকিব। দেশের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে চাইলেও সে সুযোগ পাননি তিনি।
এরপরই সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের কবলে পড়েন দীর্ঘদিন ক্রিকেট মাতানো এই টাইগার। একে একে দুই দফা নিজের বোলিং অ্যাকশন বৈধতার পরীক্ষা দিয়েও ব্যর্থ হন তিনি। নিজ দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট বাদে সকল প্রকার ক্রিকেটে বোলিংয়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। এতে করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নিয়ে।
কেননা এরই মধ্যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে নিজের অবসর ঘোষণা করেছেন সাকিব। টেস্ট ক্রিকেট থেকেও নিজেকে একপ্রকার সরিয়ে ফেলেছেন। কেবল ওয়ানডে ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন, তবে সেটার মেয়াদও তিনি বেঁধে দিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত।
এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও দেখা যাবে না তাকে। নতুন করে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দিয়ে আবারও ফেল করলে আগামী এক বছরে পরীক্ষাই দিতে পারবেন না। সবকিছু মিলিয়ে, নিষেধাজ্ঞা কাটালেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর ফিরতে পারবেন কিনা, তা সময়ই বলে দেবে।
প্রসঙ্গত, গেল বছর ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আম্পায়াররা। সেই প্রেক্ষিতে তাকে পরীক্ষা দিতে হয়, যেখানে ত্রুটিপূর্ণ অ্যাকশনের অভিযোগে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তার বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়। পরবর্তীতে চেন্নাইয়ে পরীক্ষা দিয়েও তিনি ব্যর্থ হন।