Breaking News

ইংল্যান্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলার প্রস্তাব পেলেন শরিফুল

গত বছরের জুলাইয়ে কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলতে গিয়ে চোট নিয়ে ফিরেছিলেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি পেসার বল হাতে ছন্দে নেই তখন থেকেই। প্রত্যাশিতভাবে পারফর্ম করতে না পারায় ডাক পড়েনি বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলেও। বাঁহাতি পেসারের চলমান বিপিএলের পারফরম্যান্সও ভালো-মন্দের মিশেলে। একটু একটু করে নিজেকে পুরনো রূপে ফিরে পাওয়ার মিশনে থাকা শরিফুলের নিজেকে প্রমাণের একটা বড় সুযোগ মিলতে পারে ইংল্যান্ডে।

আগামী মে-সেপ্টেম্বরে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে এসেক্সের হয়ে খেলতে যেতে পারেন বাংলাদেশের এই পেসার। শরিফুলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এসেক্স। ধারণা করা হচ্ছে, সবকিছু ঠিক থাকলে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে খেলতে যেতে পারেন শরিফুল। ২৩ বছর বয়সী পেসারের প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি ক্রিকফ্রেঞ্জিকে নিশ্চিত করেছে একটি সূত্র।

চলতি বছরের ২৯ মে পর্দা উঠবে টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের এবারের আসরের। যার ফাইনাল হবে ১৩ সেপ্টেম্বর। তবে শরিফুল খেলতে যেতে পারেন শুধুমাত্র মে-জুলাইয়ের সময়টুকুর জন্য। যদিও বাঁহাতি পেসারের খেলতে যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অনাপত্তি পত্রের উপর। কারণ সেই সময় জাতীয় দলের ব্যস্ততায় থাকতে হতে পারে তাকে। 

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলেই সমান তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলতে মে মাসে পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ। জুনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে হবে টাইগারদের। এমন অবস্থায় এনওসি পাবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। এদিকে এখন পর্যন্ত বিসিবির কাছে এনওসির জন্য আবেদন করেননি চলমান বিপিএলে চিটাগং কিংসের হয়ে ১০ ম্যাচে ১২ উইকেট নেয়া শরিফুল।

এশিয়া থেকে ভারত ও পাকিস্তানের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররাও ইংলিশ কাউন্টিতে খেলছেন নিয়মিতই। সবশেষ কয়েক বছরে ইংলিশ কাউন্টিতে খেলা ক্রিকেটারদের তালিকায় অনেকটা এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। অথচ বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের যেন সুযোগই মেলা ভার। জাতীয় দলের ব্যস্ততার পাশাপাশি পারফরম্যান্সে আলো ছড়াতে না পারাও বড় সমস্যা। 

এমন অবস্থায় ইংলিশ কাউন্টি দলে খেলা বাংলাদেশের খেলোয়াড় তালিকাটা খুব একটা লম্বা নয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলেছেন সাকিব আল হাসান। এর আগে ২০১০ ও ২০১১ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ওরচেস্টারশায়ারের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে সাকিব খেলেছিলেন ২০১১ সালে ওরচেস্টারশায়ার ও ২০১৩ সালে লেস্টারশায়ারের হয়ে।

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের আগে ইংলিশ কাউন্টি দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তামিম ইকবাল ও মুস্তাফিজুর রহমানের। যদিও তারা দুজনই খেলেছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। ২০১১ সালে নটিংহ্যাম্পশায়ার ও ২০১৭ সালে এসেক্সের হয়ে খেলেছিলেন তামিম। মাত্র একবারই ইংলিশ কাউন্টিতে যাওয়া মুস্তাফিজ টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে খেলেছিলেন সাসেক্সের হয়ে ২০১৬ সালে।

About shakiltowhidulislam@gmail.com

Check Also

অভাগা যেদিকে যায়, সাগর শুকায়ে যায়– কথাটি যেন সাকিব আল হাসানের জন্য

অভাগা যেদিকে যায়, সাগর শুকায়ে যায়– কথাটি যেন সাকিব আল হাসানের জন্য

অভাগা যেদিকে যায়, সাগর শুকায়ে যায়– কথাটি যেন সাকিব আল হাসানের জন্য বেশ ভালোভাবেই প্রযোজ্য। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *