ক্রীড়াবিদদের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান হয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশেও মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও সাকিব আল হাসান সংসদ সদস্য হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে থাকা তামিম ইকবালও কি রাজনীতিতে নাম লেখাবেন?
গতকাল (৭ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের শিরোপা জয়ের পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্নের জবাবে তামিম হাস্যোজ্জ্বলভাবে বলেন, ‘এখন তো আমি অবসরে, তাই আসলেও ওইরকম কোনো আলোচনা হবে না। তবে, আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই, দেখা যাক।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই তারকা মাশরাফী ও সাকিব তাদের খেলোয়াড়ি জীবন চলাকালীনই রাজনীতিতে জড়িয়েছেন এবং আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তবে রাজনীতিতে আসার পর তারা সমর্থকদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করেন। একসময় মাঠের সকল দর্শক তাদের সমর্থন দিলেও রাজনীতিতে যোগদানের পর অনেকেই তাদের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
বিশেষ করে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাদের নীরবতা তরুণদের ক্ষুব্ধ করে তোলে। পরবর্তীতে, সরকার পতনের পর মাশরাফীর নড়াইলের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং মাগুরায় সাকিবের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার পর সাকিবের নিরাপত্তা ও জাতীয় দলে তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ফলে তিনি বিদেশ থেকেই তার ক্যারিয়ারের ইতি টানতে বাধ্য হন।
তামিম ইকবাল রাজনীতিতে যুক্ত হবেন কি না, তা এখনই বলা কঠিন। তবে সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা দেখে তিনি সিদ্ধান্ত নিতে আরও সময় নিতে পারেন।