টানটান উত্তেজনার ফাইনালে দুবাই ক্যাপিটালসকে শিরোপা এনে দিলেন জিম্বাবুয়ের তারকা অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য ২৪ রান প্রয়োজন ছিল দুবাই ক্যাপিটালসের। ঠিক তখনই আউট হয়ে যান বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান রভম্যান পাওয়েল, যিনি ৩৮ বলে ৬৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন। ম্যাচ তখন সমান সমান। তবে পাওয়েলের বিদায়ের পর ম্যাচের মোড় নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেন রাজা।
টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অন্যতম নির্ভরযোগ্য মুখ হয়ে উঠছেন রাজা। তার ব্যাটিং ঝড়েই দুবাই ক্যাপিটালস আইএল টি-টোয়েন্টির প্রথম শিরোপা ঘরে তোলে।
রাজার ব্যাটে শেষ মুহূর্তের বিস্ফোরণ
১৯তম ওভারে মোহাম্মদ আমিরের করা ওভারে রাজা হাঁকান তিনটি বাউন্ডারি, যা ম্যাচের গতিপথ বদলে দেয়। এরপর শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে এক ছক্কা ও এক চার হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন এই জিম্বাবুইয়ান অলরাউন্ডার। তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের কারণেই ডেজার্ট ভাইপারসকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় স্যাম বিলিংসের নেতৃত্বাধীন দুবাই ক্যাপিটালস।
উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় দুবাই ক্যাপিটালস। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ডেজার্ট ভাইপারস ৫ উইকেটে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে।
- ম্যাক্স হল্ডেন ৫১ বলে ৭৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন।
- শেষদিকে স্যাম কারান মাত্র ৩৩ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
- আজম খান ১৩ বলে ২৭ রানের হার না মানা ক্যামিও ইনিংস খেলেন।
১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় দুবাই ক্যাপিটালস। মাত্র ৩১ রানে হারিয়ে ফেলে ৩টি উইকেট।
- ক্যারিবিয়ান ওপেনার শাই হোপ ধীরস্থির ব্যাটিং করেন, ৩৯ বলে ৪৩ রান করেন তিনি।
- এরপর রভম্যান পাওয়েল ঝড় তুলে ৩৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৩ রান করেন, যা দুবাই ক্যাপিটালসকে জয়ের পথে এগিয়ে দেয়।
- দাসুন শানাকা ১০ বলে ২১ রান করে দ্রুত রান তোলার কাজ করেন।
এরপর সিকান্দার রাজার দায়িত্বশীল ফিনিশিংয়ে জয় নিশ্চিত হয় দুবাইয়ের। তিনি মাত্র ১২ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। তার এই ইনিংসেই প্রথমবারের মতো আইএল টি-টোয়েন্টি শিরোপা জেতে দুবাই ক্যাপিটালস।
দুবাই ক্যাপিটালসের প্রথম শিরোপা জয়
দুবাই ক্যাপিটালসের এই জয় শুধু দলের জন্য নয়, বরং সিকান্দার রাজার ক্যারিয়ারের জন্যও আরেকটি বড় অর্জন। তার দারুণ পারফরম্যান্সে এবারও প্রমাণ হলো, ছোট দল হলেও তিনি বড় মঞ্চের বড় তারকা।
শেষ মুহূর্তে রাজার অসাধারণ ব্যাটিংয়ের কারণে দুবাইয়ের ক্রিকেটপ্রেমীরা উল্লাসে মাতেন এবং এই জয়ের নায়ক হয়ে ওঠেন জিম্বাবুয়ের এই অলরাউন্ডার।